বাউফলে ৩৮ তম বিসিএস ক্যাডার হলেন স্বামী-স্ত্রী

 বাউফলে ৩৮ তম বিসিএস ক্যাডার হলেন স্বামী-স্ত্রী


মোঃ দেলোয়ার হোসেন :  সদ্য গোষিত ৩৮তম বিসিএসের চুড়ান্ত ফলাফলে বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন পটুয়াখালীর বাউফলের ওয়াহিদুল ইসলাম ও কামরুন্নাহার তামান্না। তাঁরা দুজন স্বামী-স্ত্রী। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী ছিলেন তাঁরা। লেখাপাড়াও করেছেন মিলেমিশে। এবার দুজনেই এক সঙ্গে হলেন বিসিএস ক্যাডার। ওয়াহিদুল কৃষি ক্যডার এবং তামান্না প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।তাঁরা দুজনই পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ থেকে পাশ করেছেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে একই অনুষদে ভর্তি হওয়ার সুবাদে ২০১১ সালে তাঁদের একে অপরের সাথে পরিচয় হয়। পরে ২০১৯ সালে বিয়ে করেন তারা।
ওয়াহিদুল ইসলাম স্কুল শিক্ষক মাহাবুব আলমের ছেলে। মা একজন গৃহীনি। বাড়ী  বাউফল উপজেলার নাজিরপুর গ্রামে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ওয়াহিদুল ইসলাম বড়। ছোট ভাই সাকিউর রহমান দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ওয়াহিদুলের স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষ করে ব্যবসা বা চাকুরি করবেন। এই প্রথমবারই তিনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃষি ক্যাডার হলেন। এদিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গুরুধাম এলাকার আবদুল আজিজ হাওলাদারের তিন মেয়ের মধ্যে মেঝ মেয়ে তামান্না। তার বাবা ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের স্পিডবোট চালক।  ছোট বেলা থেকেই অসম্ভব মেধাবী তামান্নার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে শিক্ষকতা করবেন। ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তামান্না বরিশাল রহমতপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববীদ হিসেবে কর্মরত আছেন। ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় তিনি ফের উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডার হয়েছেন। ওয়াহিদ-তামান্না দম্পতির ঘরে আজওয়ান কুহক নামে ৩ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ায় এই দম্পতির গর্বিত পিতা-মাতা তাঁদের সন্তানের উজ্জল ভবিষ্যাতের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছেন।